আস সুন্নাহ হেলথ কেয়ার

কালো যাদু, অন্ধকারের এক রহস্যময় শক্তি, যা মানুষের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ইসলামে এর অস্তিত্ব শুরু থেকেই রয়ে গেছে, কিন্তু কেউ কেউ এখনও এটিকে কুসংস্কার ভেবে উড়িয়ে দেয়।
কিন্তু,কালো-যাদু (Black Magic) সত্য। কালো-যাদুর শিকার হওয়া মানুষেরা প্রায়ই হঠাৎ করে অজানা শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করে, কারণ তারা বুঝতে পারে না, কোথা থেকে আসছে এই আঘাত। শত্রু যখন ঈর্ষা বা বিদ্বেষ থেকে এমন করে যাদুকর কবিরাজ দ্বারা কালো-যাদু(Black Magic)প্রয়োগ করে, তখন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ও মন একসঙ্গে ভেঙে পড়ে। তাদের রোগের সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না, চিকিৎসায়ও সুফল মেলে না। আপনি হয়ত দেখছেন সুস্থ মানুষটিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়তে, তার জীবনের আলো নিভে যেতে—এটিই কালো-যাদুর বিভীষিকা, যা ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেয় ও একটি পরিবারের সুখ শান্তি নিমিষেই শেষ করে দেয়।

  • এই যাদুতে নিম্নের লক্ষণসমূহ পাওয়া যায়।
  • ১.একাকিত্বতা পছন্দ করা।
  • ২. সম্পূর্ণরূপে আলাদা থাকা।
  • ৩. সর্বদায় চুপচাপ থাকা।
  • ৪. মানুষের সাথে সামাজিকতাকে ঘৃণা করা।
  • ৫. মানসিক অস্থিরতা।
  • ৬. সব সময় মাথা ব্যাথা।
  • ৭. অবসাদ, প্রায়শই অলসতা লাগা।
  • ৮. কোনো কাজ করতে গেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
  • ৯.দেহে ঝাকুনি বা খিচুনী এসে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • ১০. দেহের কোন অঙ্গ অচল হয়ে যাওয়া।
  • ১১. গোটা দেহ নির্জীব হয়ে যাওয়া।
  • ১২. পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের কোন একটি কাজ না করা।
  • ১৩.একের পর এক অসুস্থ হওয়া।১৪. দেহের কোন অঙ্গে সর্বদা ব্যাথা থাকা।

এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করতে হয় যে, এ লক্ষণগুলো সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তবে এর পার্থক্য নির্ণয়ের জন্যে রোগীর উপর কুরআন পড়ে ঝাড়লে রোগী যদি কোনরূপ খিঁচুনী অনুভব করে অবশ হয়ে যায়, অথবা সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অথবা দেহে কম্পন সৃষ্টি হয় অথবা মাথায় ব্যাথা অনুভব হয় তবে বুঝতে হবে যে, রোগীরকে যাদু করা হয়েছে। আর এমনটি না হলে বুঝতে হবে যে এটা সাধারণ রোগ ডাক্তার দিয়ে এর চিকিৎসা করতে হবে।

যেভাবে এ যাদু হয়ে থাকে

এটা সবার কাজেই জানা যে, মানুষের মস্তিস্ক সব অংশের মূল দেহ যে কোন অংশকে মস্তিষ্ক পরিচালনা করে এবং বিপদ আসলে বিপদ সংকেত নিয়ে অঙ্গকে হেফাজত করে। আর তা সেকেণ্ডের কম সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে।

فَأَرُونِي مَاذَا خَلَقَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ .

এটা আল্লাহর সৃষ্টি আর আল্লাহ ছাড়া যে (সব মিথ্যা) ইলাহ রয়েছে তাদের সৃষ্ট কিছু আমাকে দেখাও। (সূরা লোকমান: আয়াত-১১)

যখন মানুষ এ জাতীয় যাদুতে আক্রান্ত হয় তখন জ্বীন লোকটির মস্তিষ্ককে আয়ত্বে নিয়ে আসে। অত:পর যাদুকর যে অঙ্গের সমস্যা করতে বলে সে জ্বীন সেই অঙ্গের সমস্যাই করে। অতএব হয়ত জ্বীন মানুষের শ্রবণশক্তি অথবা দৃষ্টিশক্তির কেন্দ্র বিন্দুতে প্রভাব বিস্তার করে অথবা মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্ক যে কোন অঙ্গে রগ যার সম্পর্কে অঙ্গে প্রভাবিত করে এমতাবস্থায় অঙ্গ তিনটি অবস্থায় পতিত হতে পারে।

এর তিন অবস্থাঃ

১. জ্বীন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে কোন অঙ্গে চালিকা শক্তি একেকবার নিস্তেজ করে দেয়, তখন সে অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায়। ফলে সে রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ অথবা শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে।

২. অথবা জ্বীন আল্লাহর শক্তির দ্বারাই কোন অঙ্গেও চালিকা শক্তি অচল করে আবার কখনো ত্যাগ করে, যার ফলে সে অঙ্গ কখনো ঠিক হয়ে যায় আবার পুনরায় সে আক্রান্ত হয়ে যায়।

৩. অথবা রোগীর মস্তিষ্কের চালিকা শক্তি বরাবর চলমান থাকা অবস্থায় তার কোন অঙ্গ ছিনিয়ে নেয় তখন আর নড়াচড়া থাকে না। যার জন্যে অঙ্গগুলোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় যদিও তা অবশ নয়। আর আল্লাহ তা’আলা যাদুকরদের প্রসঙ্গে ঘোষণা করেন-

وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ .

আর তারা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না।

আলোচ্য আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যাদুকর আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই সমস্ত রোগ আল্লাহর ইচ্ছায় হয় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় নাজাত পায়। ঔষধ ব্যতীতও ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগমুক্তি হয়, অনেক ডাক্তারই তো মানতে চায় না। তবে বাস্তব প্রমাণ দেখার পর তারা মানতে বাধ্য হয়।

আমার নিকট এক ডাক্তার এসে বলতে লাগল যে, আমি একটি বিষয়ে এসেছি যা আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে ফেলেছে। আমি বললাম কি সেই ব্যাপার? সে বলল: এক ব্যক্তি আমার কাছে তার একটি সন্তান নিয়ে আসল যে পোলিও আক্রান্ত অর্থাৎ তার সন্তানটির দেহ অচল অবস্থা হয়েছিল। যখন আমি রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করে বুঝতে পারলাম যে, সে জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত ।ও ডাক্তাররা বলেছে ,মেরুদণ্ডজনিত এমন রোগে আক্রান্ত যার কোন চিকিৎসা নেই। অপারেশনও বিফল; তারপর রুকইয়াহ করলাম এবং রুকইয়াহ এর নিয়ম-কানুন শিখিয়ে দিলাম। কয়েক সপ্তাহ পর লোকটি আমার আস-সুন্নাহ হেলথ কেয়ার অফিসে আসলে আমি তার সেই চার হাত পা অচল সন্তানটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে: আলহামদুলিল্লাহ সে সুস্থ হয়ে গেছে এখন সে বসে এমনকি দেয়ালের উপর দিয়ে চলে।

আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি তোমার সন্তানকে কার নিকট থেকে চিকিৎসা করেছ?

জবাবে সে বলল: রাক্বী এইচ এম মোশাররফ হুজুর এর নিকট।

ডা: বলল: তাই আমি আপনার নিকট বিষয়টি জানতে এসেছি যে, আপনি তার চিকিৎসা কিভাবে করেছেন?

আমি সেই ডাক্তারকে বললাম, আমি কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেছি এবং কালো জিরার তেলের উপর ফুঁ দিয়ে অবশ অঙ্গগুলোতে মালিশ করতে বললাম। আল্লাহ তা’আলা সেই বান্দাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। এসব আল্লাহর মহিমা আমার নিকট কিছুই নেই।

এ জাতীয় যাদুর চিকিৎসা

১. যেমন আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি অনুরূপ, রোগীর সামনে কুরআনের আয়াত তিনবার তিলাওয়াত করার পর রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে অনুরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করতে হবে।অর্থাৎ সরাসরি রাক্বীর কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।

২. আর যদি রোগী অজ্ঞান না হয় আর সামান্য লক্ষণ কেবল দেখা দেয় তবে নিম্নের পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে: ক্যাসেটে সূরা ফাতেহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা দুখান, সূরা জ্বীন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ছোট সূরা বাইয়্যিনা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত রেকর্ড করে রোগীকে দিবে। আর রোগী তা প্রত্যেকদিন তিনবার শ্রবণ করবে।

এছাড়া রোগীকে কালো জিরার তেলের সাথে নিম্নের দু’আ আয়াত ও সূরাগুলো পড়ে ফুঁ দিয়ে এবং গুরুত্বের সাথে রোগীর কপালে ও ব্যথিত স্থানে সকাল-সন্ধ্যা মালিশ করতে বলবে।

সে সব আয়াত ও সূরা হলো: ১. সূরা ফাতেহা, ২. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস।

وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ সাতবার পড়বে।

بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ وَاللَّهُ يَشْفِيكَ مِنْ كُلِّ دَاءٍ يُؤْذِيكَ، وَمِنْ .. كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنٍ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ

اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ .. إِلَّا شِفَاءُوكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا

৬০দিন পর্যন্ত এ আমল করবে। সুস্থ হলে তো ভালো আর না হয় দ্বিতীয়বার উক্ত ঝাড়-ফুঁক করবে। অত:পর একই পদ্ধতি গ্রহণ করবে। দ্বিতীয়বারের মতো অনুরূপভাবে যা তার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন সেভাবে পদ্ধতি গ্রহণ করবে।

এ জাতীয় চিকিৎসার কতিপয় কিছু উদাহরণ:

এক মাস পর্যন্ত এক মেয়ে কথা বলে না:

একমাস থেকে এক মেয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে। সে নিজের ভাই এবং বাবার সাথে আমার চেম্বারে আস-সুন্নাহ হেলথ কেয়ারে আগমন করল। তারা বললেন, তার মুখ এমনভাবে বন্ধ হয়ে গেছে যে, খাওয়া-দাওয়ার জন্যেই তার মুখ জোর করে খুলতে হয়। তারা বললেন, এমন অবস্থা তার ৩৫ দিন ব্যাপী।অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছি কিচ্ছু হয়নি। তারপর ওর উপর যখন কুরআন পাঠ করলাম আর সে তা শুনে কথা বলা আরম্ভ করল আলহামদুলিল্লাহ। অত:পর সে বাকশক্তি ফিরে পেল।এ সকল রোগিদের প্রায় সময় যিকির করতে হয়।যিকির করলে আর এ সমস্যা গুলো হয়না ।

জ্বীনে এক নারীর পা ধরে রাখাঃ

এ নারী আমার নিকট এসে বলল, তার পায়ে অত্যন্ত ব্যাথা। আমি ধারণা করলাম যে, হয়তো তার পা কোন ব্যাধির কারণে এমন হয়েছে। কেননা সে একেবারেই পা উঠাতে পারছিল না।

তবুও আমি ঝাড়-ফুঁক আরম্ভ করলাম। সেই নারী সূরা ফাতেহা শোনামাত্রই বেহুঁশ হয়ে গেল। আর জ্বীন কথা বলতে লাগল। সে বলল: সে এই মহিলার পা ধরে রেখেছে। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি হাসিল করতে চাইলে এ নারী ভেতর থেকে বেরিয়ে যাও। আলহামদুলিল্লাহ সেই মহিলা থেকে জ্বীন বের হয়ে গেল। আর সে হাঁটা আরম্ভ করল।

এক ব্যক্তির চেহারা জ্বীন বাঁকা করে দিয়েছিলঃ

একদিন এক ব্যক্তি আমার নিকট আসল যার চেহারা ডান দিক ঘুরানো ছিল। আমি যখন তাকে উক্ত ঝাড়ফুঁক[রুকইয়াহ] করলাম ।তখন জ্বীন কথা বলল: এ ব্যক্তি আমাকে কষ্ট দিয়েছে যার জন্যে আমি তার চেহারা ঘুরিয়ে দিয়েছি। অত:পর আমি জ্বীনকে উপদেশ দিলাম যার ফলে আলহামদুলিল্লাহ জ্বীন সেই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিল। আর সেই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে দাঁড়াল ও তার চেহারাও সোজা হয়ে গেল।

এমন এক কন্যার ঘটনা যার চিকিৎসায় ডাক্তারও অপারগঃ

একদিন এক ব্যক্তি এসে আমাকে বলল, তার কন্যা হঠাৎ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বেহুশ হয়ে যায় এরপর দু’মাস পর্যন্ত কথা বলতে পারে না। শুধু এখন শুনতে পায়। খাবার খেতে পারে না, আর না সে তার দেহের কোন অঙ্গ নড়া-চড়া করে। বর্তমানে সে সৌদি আরবের আবহা হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে। ডাক্তারগণ বলেছেন তার জন্য সকল প্রকার টেস্ট করা হয়েছে; এমন কি একজন ডাক্তার বলেন তার সব রিপোর্ট ভালো; কিন্তু বুঝে আসছে না এর মূল তথ্য ও রহস্য কি। এখন সে কঠিন মুহূর্তে সময় কাটছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জন্যে তার গলা ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে। আর নাক দিয়ে পাইপের মাধ্যমে তার পেটে খাবার দেয়া হয় যাতে বাকী জীবন এভাবে চলতে পারে।

আমি চিকিৎসার জন্যে কারো নিকট গমন করি না; যদিও সে যে কেউ হোক, সে যেহেতু আমার এক প্রিয় বন্ধু এবং বড় আলেম শায়খ সাঈদ ইবনে মুসাফির ক্বাহতানীর মাধ্যমে নিয়ে আমার নিকট এসেছিল এজন্য বাধ্য হয়ে আমাকে সাথে যেতে হয়।(শায়খ ওয়াহিদ)

হাসপাতালে প্রবেশের বিশেষ অনুমতি পাওয়ার পর উপরিউক্ত কন্যার চিকিৎসার জন্যে তার নিকট পৌছলাম। সেখানে দেখতে পেলাম যে, মেয়েটি বোবা হয়ে তার বিছানায় শুয়ে আছে। সে শুনতে ও দেখতে পায় মাত্র; কিন্তু বলতে পারে না, এক মাথা ছাড়া কোন কিছু নড়াতেও পারছে না এবং দুর্বল হয়ে এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আমি তাকে কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে মাথায় না বোধক জবাব দেয়। আমি বুঝতে পারলাম না তার কি হয়েছে। এরপর আমি সালাত আদায়ের জন্যে মসজিদে গেলাম সেখানে সালাত আদায় করে তার সুস্থতার জন্যে আল্লাহর কাছে দু’আ করি এবং ফিরে এসে আমি তার মাথায় হাত রেখে সূরা ফালাক্ব তেলাওয়াত করি এবং নিম্নে দু’আটি পড়ি-

اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَأْسَ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاء إِلَّا

شفَاءُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا.

অত:পর মেয়েটি আল্লাহর দয়ায় কথা বলতে লাগল। তার বাবা ও ভাই খুশিতে কেঁদে ফেলল। তার পিতা আমার মাথায় চুম্বন করতে চেষ্টা করলে আমি তাকে বললাম যে, এতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। এসব আল্লাহ তা’আলার পরম করুণা। এরপর মেয়েটি বলল যে, আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে যেতে চাই। অত:পর তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে গেল।

জ্বীনের যাদুর স্থান দেখানোঃ

এক অসুস্থ যুবক আমার নিকট আসল। যখন আমি তার সামনে কুরআনের আয়াত পড়লাম তখন তার ভিতরের জ্বীন কথা বলতে লাগল: সে যাদুর দায়িত্বপ্রাপ্ত তাকে অমুক ব্যক্তি যাদু করেছে। আর যাদুর জিনিসগুলো এক খুঁটির মধ্যে রাখা আছে। এরপর আমি জ্বীনকে বের হয়ে যেতে বললাম। অতঃপর সে বের হয়ে গেল আলহামদুলিল্লাহ। আর রোগীর লোকজন খুঁটির নিচে কিছু এলোমেলো কাগজের টুকরা পেল যাতে কিছু কিছু অক্ষর লিখা আছে। তারা সেগুলো পানিতে নিক্ষেপ করে যাদুকে নিঃশেষ করে দিল। আলহামুদলিল্লাহ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।

আমাদের ঠিকানা:

আস-সুন্নাহ হেলথ কেয়ার
দ্বিতীয় তলা, পাবনা শহর সমবায় মার্কেট
গভমেন্ট গার্লস স্কুলের সামনে
দিলালপুর, পাবনা-৬৬০০

যোগাযোগ: [+880] 1313-882464
ইমেইল: [info@assunnahhealth.com]


For Appointment & Visit:

WhatsApp: Click Here

Telegram: t.me/ruqyahsunnahsupport

Share:

Facebook
Twitter
LinkedIn
Scroll to Top