আস-সুন্নাহ হেলথ কেয়ার

রুকইয়াহ শরয়ির সংজ্ঞা:

ভাষাগত অর্থ:

রুকইয়াহ (الرقية) শব্দটি এমন তাবিজ বা দোয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয় যা রোগগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য পড়া হয়, যেমন: জ্বিন যাদুটোনা জ্বর, মৃগী, বা অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক রোগ। এর বহুবচন রুকা (رقى)।

(সূত্র: লিসান আল-আরব, ১৪/৩৩২)

শরীয়তের পরিভাষায় অর্থ:

রুকইয়াহ হচ্ছে এমন কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম ও গুণাবলী, এবং শরয়ি দোয়া যা রোগীর ওপর পড়ে তার আরোগ্য প্রার্থনা করা হয়। এটি আসলে আল্লাহর কাছে রোগীর আরোগ্য এবং তার দেহ থেকে রোগ নিরাময়ের জন্য একটি দোয়া ও প্রার্থনা।

কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমা দ্বারা রুকইয়াহর বৈধতা:

১. কুরআন থেকে:

▪ আল্লাহ তাআলা বলেন:

> “আমরা কুরআনে যা নাজিল করি তা হলো মুমিনদের জন্য শেফা এবং রহমত। কিন্তু জালিমদের জন্য তা ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।”

— (সূরা আল-ইসরাঃ ৮২)

▪ আরও বলেন:

> “হে মানুষ! তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এবং হৃদয়ের জন্য শেফা, মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত।”

— (সূরা ইউনুসঃ ৫৭)

▪ এবং বলেন:

> “বলুন, এটি বিশ্বাসীদের জন্য হিদায়াত ও শেফা।”

— (সূরা ফুসসিলাতঃ ৪৪)

কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি অন্তরের সন্দেহ ও অজ্ঞতা, এবং ক্ষতিকর ধারণা থেকে শেফা দেয়, একই সাথে দেহের রোগ থেকে আরোগ্য দেয়।

২. সুন্নাহ থেকে:

▪ আউফ ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন: আমরা জাহেলিয়াতের যুগে রুকইয়াহ করতাম। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি এ সম্পর্কে কী বলেন?

তিনি বললেন: “তোমাদের রুকইয়াহ আমার কাছে আনো, যদি এতে শিরক না থাকে, তবে এতে কোনো দোষ নেই।”

— (সহিহ মুসলিম)

▪ জাবির (রা.) বর্ণনা করেন: আমার এক মামা ছিলেন, যিনি বিচ্ছুর কামড় থেকে রুকইয়াহ করতেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) রুকইয়াহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। এরপর তিনি রাসূলের কাছে আসলেন এবং বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, আপনি রুকইয়াহ নিষিদ্ধ করেছেন, অথচ আমি বিচ্ছুর কামড় থেকে রুকইয়াহ করি।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তার ভাইয়ের উপকার করতে পারে, তাহলে তা করুক।”

— (সহিহ মুসলিম)

▪ আয়েশা (রা.)-কে রুকইয়াহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন: “রাসূলুল্লাহ (সা.) আনসারদের এক পরিবারকে রুকইয়াহ করার অনুমতি দিয়েছেন, যারা যেকোনো বিষাক্ত কামড় থেকে রুকইয়াহ করত।”

— (সহিহ মুসলিম)

▪ আয়েশা (রা.) আরও বলেন: “রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে নজর থেকে রুকইয়াহ করার নির্দেশ দিতেন।”

— (সহিহ মুসলিম)

৩. ইজমা থেকে:

▪ ইমাম ইবনে হাজর (রহ.) বলেন: রুকইয়াহর বৈধতা সম্পর্কে সকল আলেমের ঐকমত্য রয়েছে।

— (ফাতহুল বারি, ১০/১৯৫)

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রুকইয়াহ বৈধ হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে: ১. রুকইয়াহ কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম বা গুণাবলী দ্বারা হতে হবে। ২. এটি আরবি ভাষায় হতে হবে, বা অন্য ভাষায় হলেও অর্থ স্পষ্ট হতে হবে। ৩. রুকইয়াহর প্রভাব নিজ থেকে নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় নিরাময় হবে—এই বিশ্বাস রাখতে হবে।

উপসংহার:

রুকইয়াহ শরয়ি হচ্ছে কুরআনের আয়াত ও সুন্নাহর দোয়ার মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের একটি বৈধ পদ্ধতি, যা আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভরতার মাধ্যমে করা হয়।

বিস্তারিত পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য কথা বলুন।কল দিবেন না ম্যাসেজ দিয়ে অপেক্ষা করুন।আপনার সাথে অতি শীঘ্রই যোগাযোগ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

For Appointment & Visit :.👇

Whatsapp:- https://wa.me/message/GHRMTFEGOCQPJ1

Telegram:- t.me/ruqyahsunnahsupport

May be an image of 1 person, temple and text

Share:

Facebook
Twitter
LinkedIn
Scroll to Top